রামপ্রসাদ গীতিসমগ্র
শ্যামাসংগীত বা কালীকীর্তনের আদি রচয়িতা শাক্ত কবি রামপ্রসাদ সেনকে নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় সভাকবির মর্যাদা, ১০০ একর নিস্কর জমি ও কবিরঞ্জন উপাধি দিয়েছিলেন। ১৭২০ খ্রিষ্টাব্দে মোগল আমলের শেষদিকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় হালিশহর নামে হুগলী নদীর তীরবর্তী এক স্থানে রামরাম সেন নামক এক সংস্কৃত পন্ডিত ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের দ্বিতীয়া পত্নী সিদ্ধেশ্বরী দেবীর গর্ভে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ১৮ বছর বয়সে সর্বাণী নামে এক মেয়েকে বিয়ের পর কুলগুরু মাধবাচার্যের দীক্ষা নিয়ে মা-কালীর অনুরক্ত হয়ে পড়েন। এরপর শাক্ত তন্ত্রগ্রন্থ তন্ত্রসারের রচয়িতা ও বঙ্গদেশে কালী আরাধনার প্রবর্তক তান্ত্রিক যোগী কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। রামপ্রসাদ বাংলা সংগীতে এক নতুন সুরের ধারা সৃষ্টি করেন। রামপ্রসাদী সুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহ অনেক খ্যাতিমান রচয়িতা গান রচনা করেছেন। রামপ্রসাদের পুত্র রামদুলাল সেনও অনেক ভক্তিমূলক গান রচনা করেছেন। ১৭৭৫ খ্রিষ্টাব্দে কালীপ্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে রামপ্রসাদ গঙ্গার জলে ডুবে মারা যান।